আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার ক্যামচাটকা উপদ্বীপের কাছে চলতি বছরের ৩০শে জুলাই ৮ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিলো। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর একটি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
সেদিন স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, যার ফলে সুনামি সৃষ্টি হয়। এসময় রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও প্রশান্ত মহাসাগরের আশপাশের অঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৯০০ সালে আধুনিক ভূকম্পবিজ্ঞানের শুরুর দিক থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ভূমিকম্প রাশিয়ার উপকূলে হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ছিল।এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল ১৯৬০ সালের চিলির ভালডিভিয়া ভূমিকম্প, যেটির মাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫।
ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) অনুযায়ী, এতে ১ হাজার ৬৫৫ জন নিহত হয় এবং প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
২০১১ সালের জাপানের গ্রেট তোহোকু ভূমিকম্পের পর থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো ভূমিকম্প হয়েছে এরমধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল রাশিয়া ক্যামচাটকা উপকূলের এবারের ভূমিকম্প।
তোহোকু ভূমিকম্প এক বিধ্বংসী সুনামির সৃষ্টি করেছিল, যা ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিপর্যয় ডেকে আনে। শক্তিশালী ভূমিকম্পের তালিকায় এটির অবস্থান তিনে।
এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ১৯৬৪ সালের আলাস্কা ভূমিকম্প যেটির মাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২, চতুর্থ অবস্থানে আছে ২০০৪ সালের সুমাত্রা ভূমিকম্প। যেটির মাত্রা ছিল ৯ দশমিক ১।
এর আগেও ক্যামচাটকা উপদ্বীপের কাছে ১৯৫২ সালে ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে, শক্তিশালী ভূমিকম্পের তালিকায় যেটির অবস্থান পাঁচে।
ইউএসজিএসের তথ্যমতে, এর ফলে ‘‘হাওয়াইয়ে সৃষ্ট হওয়া বিশাল সুনামিতে এক মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়’’।
এই ভূমিকম্পের তালিকায় পরবর্তী নাম ছিল ২০১০ সালে চিলির এবং ১৯০৬ সালে ইকুয়েডরের উপকূলে হওয়া ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প। এখন এটি ষষ্ঠ শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। সূত্র: বিবিসি